কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যাবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে হেলিকপ্টারযোগে তিনি সেখানে যাবেন। এরপর আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিতে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেশে ফেরেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আবু সাঈদের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
ড. ইউনূস বলেন, এই সময়ে আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এটা কেউ ভুলতে পারবে না। কী অবিশ্বাস্য একটা সাহসী যুবক বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এবং তারপর থেকে আর কোনো যুবক, কোনো যুবতী হার মানেনি। সামনে এগিয়ে গেছে এবং বলেছে, যত গুলি মারো, মারতে পারো। আমরা আছি।
এরপর রাতে বঙ্গভবনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস। তার সঙ্গে আরও ১৩ উপদেষ্টা শপথ নেন। এছাড়া আরও তিন উপদেষ্টার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।
আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুরে গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।
গত ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।